Baloch Activist: বালুচিস্তানে পাক অত্যাচর থেকে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জের, দাবি বালোচ মানবাধিকার কর্মীর
বালুচিস্তানে নিখোঁজ কয়েক হাজার মানুষের হয়ে আওয়াজ তুলেছেন মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীন বালোচ।
মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ, স্বাধীনতার দাবি জানানো। অন্যায়, নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করা। এই কারণেই প্রতিদিন পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান থেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন শয়ে সয়ে মানুষ। পাক পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে পাকিস্তানের (Pakistan) গোয়েন্দারা ধরে নিয়ে গুম করে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীদের (Baloch Activist)। তাঁরা বেঁচে রয়েছেন, না মরে গিয়েছেন তা-ও জানতে পারছে না পরিবারের লোকজনেরা। সংবাদ সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন মানবাধিকার কর্মী নিখোঁজ ডক্টর দ্বীন মুহাম্মাদ বালোচের মেয়ে সামি দ্বীন বালোচ।
পাকিস্তানের (Pakistan) বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান (Baloch Activist) প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচ নাগরিকদের। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে সেই লুট আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া ওই রাস্তা কারাকোরাম পেরিয়ে ঢুকেছে পাকিস্তানে। প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চিন নিয়ন্ত্রিত গ্বদর বন্দরে। ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে দাবি সেখানকার বাসিন্দাদের।
শুক্রবার করাচি প্রেসক্লাবে মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীন বালোচ জানান, ১৫ বছর আগে পাকিস্তান (Pakistan) পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে তাঁর বাবা ডঃ দ্বীন মুহম্মদ বালোচকে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে যায়। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ নেই। ছোট বোন মেহলাব দ্বীন বালোচকে সঙ্গে নিয়ে সামি জানান ২৮ জুন ২০০৯ সালের সেই রাতের কথা এখনও ভোলেননি তাঁরা। তাঁদের বাবা বেঁচে রয়েছেন কিনা তা-ও জানেন না তাঁরা। পেশায় ডাক্তার তাঁর বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন, তা-ও তাঁর উদ্ধারে নিষ্ক্রিয় সরকার। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার তাঁরা।
আরও পড়ুন: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের
১৯৪৭ সালের ১১ অগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশীয় রাজ্য কালাত। ১২ অগস্ট কালাতের শাসক মির সুলেমান দাউদ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতার মেয়াদ ছিল মাত্র সাত মাস। ১৯৪৮-এর ২৭ মার্চ পর্যন্ত। বালুচিস্তানের (Baloch Activist) মানুষের কাছে সেই দিনটা আজও যন্ত্রণার ‘পরাধীনতা দিবস’! সাত দশক আগে ওই দিনেই পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা দখল করেছিল বালুচিস্তান। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তৎকালীন শাসককে বাধ্য করেছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতে। বালুচিস্তানের পরবর্তী ইতিহাস ফের নতুন স্বাধীনতার যুদ্ধের। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর কয়েক হাজার মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।