img

Follow us on

Monday, May 06, 2024

Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

Assam: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

img

স্বামী ও শাশুড়িকে খুনের অভিযোগে ধৃত মহিলা

  2023-02-20 19:52:49

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর, নিক্কি যাদবের ঘটনার আঁচ নিভতে না নিভতেই ফের এক নারকীয় খুনের ঘটনা সামনে এল। খুনের ধরণও সেই একরকমের। এবারে স্বামী, শাশুড়িকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হল অসমের এক মহিলা। শুধু টুকরো টুকরো করে খুনই করেনি, স্বামী এবং শাশুড়ির দেহাংশ পরে মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার যা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কথা সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।

কী ঘটেছে?

পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনা ঘটে গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায়। ধৃত মহিলার নাম বন্দনা কলিতা। এছাড়াও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বয়ফ্রেন্ড ধনজিৎ ডেকা এবং তাঁর বন্ধু অরূপ দাসকে। জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহিলার, তার জেরেই খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই স্বামী অমরজ্যোতি দে এবং শাশুড়ি শঙ্করীকে খুন করেছে বন্দনা কলিতা। এর পর সেই দেহাংশ তিনদিন ফ্রিজে রেখে দেয়। তারপর গাড়িতে করে পার্শ্বর্বর্তী রাজ্য মেঘালয়ের দুটি জায়গায় দেহাংশ ফেলে দেয় বন্দনারা।

কীভাবে পুরো বিষয়টি সামনে এল?

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর অগাস্টে বন্দনা অসমের নুনমাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বন্দনা। সে দাবি করে যে স্বামী এবং শাশুড়ির খোঁজ মিলছে না। তারপর ফের একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপত্রে বন্দনা দাবি করে, শাশুড়ির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর কিছুকাল পরে অমরজ্যোতির তুতোভাইও নিখোঁজের অভিযোগ করেন৷ তার পরেই তদন্ত পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়৷ পুলিশ আন্দাজ করে, ঘটনায় বন্দনার কোনও ভূমিকা রয়েছে৷ তার পর থেকে পূর্ণমাত্রায় তদন্ত চালিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেহ উদ্ধার করা হয়৷ এর পর শুক্রবার বন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সূত্রের খবর, পুলিশ জানতে পারে যে, শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেই টাকা তুলেছিল ওই মহিলা। এটিএম কার্ড ব্যবহার করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা তুলেছে বন্দনা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বন্দনা স্বীকার করে, স্বামী এবং শাশুড়িকে খুন করেছে সে। ঘটনায় বন্দনার বয়ফ্রেন্ড এবং তার বন্ধু অরূপের নাম উঠে আসে। তারপর ধনজিৎ এবং অরূপকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবিবার তল্লাশি চালিয়ে দেহের কিছু টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমরেন্দ্র এবং তাঁর মায়ের বাকি দেহাংশগুলি উদ্ধার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Tags:

Assam

Meghalaya

Assam Murder Case

Vandana Kalita


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর