img

Follow us on

Saturday, May 11, 2024

Freedom Struggle: রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তায় মাতঙ্গিনী হাজরা ও কনকলতা বড়ুয়ার নাম, জানুন তাঁদের ইতিহাস

স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

img

মাতঙ্গিনী হাজরা ও কনকলতা বড়ুয়া (সংগৃহীত ছবি)

  2023-08-15 11:31:02

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, ‘‘আমি সম্মান জানাই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের (Freedom Struggle)। যাঁদের আত্মবলিদানের কারণেই আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। মাতঙ্গিনী হাজরা, কনকলতা বড়ুয়ার মতো সমস্ত মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আমি শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা ভারত মায়ের চরণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’’ রাষ্ট্রপতি তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় মাতঙ্গিনী হাজরা এবং কনকলতা বড়ুয়ার নাম উল্লেখ করেছেন। আজকে আমরা জানবো এই দুই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর (Freedom Struggle) সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।


মাতঙ্গিনী হাজরার ইতিহাস

পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Struggle) ছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা, ৭৩ বছর বয়সে ভারতছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার সময় ব্রিটিশ সরকারের গুলি তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেয়। তমলুকের এই স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধী বুড়ি নামেও পরিচিত। জানা যায়, মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম হয়েছিল তমলুকের হোগলা নামক গ্রামে ১৮৬৯ সালে। তাঁর প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে সেভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। কিন্তু সরকারের আর্কাইভ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মাতঙ্গিনী হাজরা (Freedom Struggle) ছিলেন একজন গরিব কৃষক কন্যা। যিনি তাঁর প্রথাগত শিক্ষা খুব বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। মাত্র ১২ বছর বয়সে মাতঙ্গিনী হাজরার বিবাহ হয় ত্রিলোচন হাজরার সঙ্গে। তাঁর স্বামীর বয়স তখন ৬০ বছর। মাতঙ্গিনী হাজরার যখন ১৮ বছর বয়স, তখন ত্রিলোচন হাজরা মারা যান। তাঁর কোনও সন্তান ছিল না। স্বামীর মৃত্যুর পরে মাতঙ্গিনী হাজরা সমাজ এবং দেশের কাজে নিজেদের উৎসর্গ করেন (Freedom Struggle)। ১৯ শতকের শুরুর দিকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ভারতবর্ষে নতুনভাবে বিস্তার লাভ করতে থাকে। এতেই প্রভাবিত হতে থাকেন মাতঙ্গিনী হাজরা। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী মণি ভৌমিকের লেখা ‘কোড নেম গড’ বইতে বলছেন, ‘‘মাতঙ্গিনী মহাত্মা গান্ধীর প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। যে কারণে তাঁকে গান্ধী বুড়ি নামে ডাকা হতো।’’  
মাতঙ্গিনী হাজরা সম্পর্কে জানা যায় ১৯৩৩ সালে তমলুক শহরে একটি বিক্ষোভের সময় তিনি জাতীয় পতাকা হাতে গভর্নরের ব্যালকনির সামনে পৌঁছে যান এবং সেখানে স্লোগান দিতে থাকেন ‘গো ব্যাক লাট সাহেব’। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে হেনস্তা করে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। এবং ৬ মাস এর জন্য তাঁর জেল হয়।  ৬১ বছর বয়সে মাতঙ্গিনী হাজরা ফের একবার গ্রেফতার হন। ১৯৩০ সালে আইন অমান্যের সময় (Freedom Struggle)। 

এরপর ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেন মহাত্মা গান্ধী। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ছয় হাজার বিক্ষোভকারীর (Freedom Struggle) সঙ্গে সামনে থেকে মিছিলে হাঁটতে থাকেন ৭৩ বছর বয়সী মাতঙ্গিনী হাজরা। এই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য ছিল যে তমলুক পুলিশ স্টেশনকে ব্রিটিশদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া। থানার সামনে মিছিল আসতেই পুলিশ বাধা সৃষ্টি করলে মাতঙ্গিনী হাজরা তাদেরকে আবেদন জানান যে মিছিলে গুলি যেন চালানো না হয়। এবং তখনই ব্রিটিশ পুলিশের রাইফেল গর্জে ওঠে তিন তিনবার। মাতঙ্গিনী হাজরার বুক ঝাঁঝরা করে দেয় ব্রটিশ পুলিশ। মৃত্যুর আগে তিনি বলতে থাকেন ‘বন্দেমাতরম’ এরপরেই সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। এবং ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হয় তমলুক। পরবর্তীকালে ১৯৪৪ সালে মহাত্মা গান্ধীর অনুরোধে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ভেঙে দেওয়া হয়।

কনকলতা বড়ুয়ার ইতিহাস 


কনকলতা বড়ুয়াছিলেন অসমের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী। ভারতছাড়ো আন্দোলনে তিনি শহীদ হয়েছিলেন। কনকলতা বড়ুয়ার যখন ১৭ বছর বয়স তখন তিনি মৃত্যু বাহিনীতে যোগ দেন। অসমের গোহপুর পুলিশ স্টেশনের সামনে ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪২ সালে বিক্ষোভরত (Freedom Struggle) অবস্থায় পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয় কনকলতা বড়ুয়ার শরীর। ডিব্রুগড় ইউনিভার্সিটি প্রফেসর শিলা বোড়া বলছেন, ‘‘ওই ঘটনার মাত্র দুদিন আগেই তিনি মৃত্যু বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। গুলিতে লুটিয়ে পড়ার পরেও যতক্ষণ তিনি বেঁচে ছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত জাতীয় পতাকাকে তিনি মাটিতে পড়তে দেননি।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Freedom Struggle

matangini hazra and kankalta barua


আরও খবর


খবরের মুভি