img

Follow us on

Saturday, Apr 27, 2024

Begging: মুম্বইয়ের পথে ভিক্ষাবৃত্তি করেই সাড়ে ৭ কোটির মালিক! চেনেন এই ভরতকে?

দেশের ধনী ভিক্ষুকের তকমা পেয়েছেন তিনি! চেনেন এঁকে?

img

ভরত জৈনের ফাইল চিত্র।

  2024-01-30 18:12:08

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিক্ষুক শব্দটির সঙ্গে পরিচিত সকলেই। আর এই শব্দটি মাথায় আসতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে জরাজীর্ণ শরীর, ছেঁড়া জমাকাপড়, চরম দরিদ্র কোনও মানুষের চেহারা। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে ভিখারিদের এখনও চোখে পড়ে। রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, মন্দির- কোনও জায়গা বাদ নেই। চলার পথে হাত পেতে টাকা, খাবার চাওয়াটাই ভিক্ষুকের (Begging) পরিচয় প্রকাশ্যে আনে। কিন্তু আজ আমরা এমন এক ভিক্ষুকের সম্পর্কে জানব, যিনি ভিক্ষা করে আজ দেশের ধনী ভিক্ষুকের তকমা পেয়েছেন। যিনি নাকি ভিক্ষাবৃত্তি করেই বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।মুম্বইয়ের ভরত জৈন আজ ভারতের ধনী ভিক্ষুকের পরিচয় পেয়েছেন।l মুম্বইয়ের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে কীভাবে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা সবাইকেই অবাক করে।

কেনই বা তিনি ভিক্ষা করেন? (Begging)

ভরতের আকাশছোঁয়া সম্পত্তির পরিমাণ দেখে অবাক হন বহু মানুষ। কেউ ভালো চোখে, কেউ বা খারাপ চোখেই দেখেন ব্যাপারটিকে। ভরতের প্রথমের দিনগুলি কিন্তু মোটেও বর্তমানের মতো ছিল না। অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটত তাঁর পরিবারের, জুটত না দু'বেলার খাবার, পরিবার নিয়ে পথে বসে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল তাঁর। টাকাপয়সার অভাবে পড়াশোনাও করতে পারেননি ভরত। তাই সব ইচ্ছাকে বিসর্জন দিয়ে পরিবার ও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে বাধ্য হন তিনি। দীর্ঘদিন থেকে ভরত মুম্বইয়ের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করছেন। তাঁর নম্র আচরণ অনেক মানুষকে আকর্ষণ করত। ফলে মানুষ তাঁকে ভালোবেসেই ভিক্ষাপ্রদান করত। সেই ভিক্ষার টাকা তিনি অসৎ পথে ব্যয় না করে সঞ্চয় করতে শুরু করেন। আজ তার ফলস্বরূপ ভরতের সম্পত্তির পরিমাণ ৭.৫ কোটি। শুনতে অবাক লাগলেও ভিক্ষা করেই তিনি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করেন। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের থানেতে রয়েছে তাঁর দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। সেখানে তিনি তাঁর বাবা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাস করেন। আবার থানেতে দুটি দোকানও আছে তাঁর,  যেগুলি ভাড়া দেওয়া আছে। সেখান থেকেও তিনি মাসিক ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। প্রতিদিন তিনি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে ভিক্ষা (Begging) আদায় করেন।

কেন তিনি এত সম্পত্তির মালিক হয়েও ভিক্ষা করেন? (Begging)

মুম্বই ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস ও আজাদ ময়দানের মতো জায়গায় এখনও ভরতকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েও এখনও পর্যন্ত তিনি ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়েননি।  এক থেকে দু'ঘণ্টা ভিক্ষা করেই তিনি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ইনকাম করেন। তাঁর দুই ছেলে বর্তমানে কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করে। ভরত তাঁর পরিবারের সঙ্গে পারেলের একটি 1BHK ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা স্টেশনারি দোকান চালান, অভাব -অনটনের লেশমাত্র নেই ভরতের। পরিবারের সবাই তাঁকে বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি (Begging) থেকে সরে আসার আর্জি জানালেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। ভরতের মতে, নিজের অতীতকে কখনই ভুলে যেতে চান না। তাই আজও তিনি সেই একইভাবে ভিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন রাস্তায় রাস্তায়। বাকি বিচার মানুষের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Mumbai

bangla news

Bengali news

Begging

beggars of mumbai

richest beggar


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর