ভগবান রাম ও দেবী সীতার দেশে জন্ম নিয়ে আমি গর্বিত, বললেন জাভেদ আখতার
জাভেদ আখতার (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মুম্বইয়ে 'মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা' আয়োজিত দীপাবলির একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলতে শোনা গেল জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar)। এদিন হিন্দুদের 'উদার এবং বড় মনের মানুষ' বলেও অভিহিত করেন প্রবীণ এই গীতিকার। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘হিন্দুদের সহনশীলতা বরাবরই রয়েছে। মানবিকতার গুণও তাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দুদের যে বিষয়টা সব থেকে ভালো, সেটা হল এঁদের মন ভীষণ বড় হয়। আপনি যদি নিজের ভিতর থেকে সেটা নষ্ট করে দেন আপনিও তাহলে বাকিদের মতো হয়ে যাবেন।’’
প্রসঙ্গত, দুমাস পরেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। মুম্বইয়ে দীপাবলির অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) বক্তব্যে উঠে আসে রাম সীতার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘ভগবান রাম ও দেবী সীতার দেশে জন্ম নিয়ে আমি গর্বিত। নাস্তিক হলেও আমি রাম ও সীতাকে দেশের সম্পদ মনে করি। রামায়ণ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।’’ দীপাবলীর ঐ অনুষ্ঠানের 'জয় সিয়ারাম' বলে ধ্বনিও তোলেন প্রবীণ এই গীতিকার। ভগবান রাম সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘‘মর্যাদা পুরুষোত্তম কথাটি উচ্চারিত হলে সবার আগে রামের কথাই আমার মনে আসে।’’ নিজের বাল্যকালের কথাও এদিন স্মরণ করেন জাভেদ আখতার।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম! সভাপতি পদে এবিভিপির প্রার্থী মুসলিম ছাত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে লক্ষ্ণৌতেই তিনি ছোট থেকে বড় হয়েছেন এবং সেখানকার ধনী ব্যক্তিরা একমাত্র সকালে গুড মর্নিং বলতেন। বাকিরা সবাই জয় শ্রীরাম বলে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতেন। গীতিকারের আরও সংযোজন, ‘‘রাম এবং সীতাকে আলাদাভাবা একদমই ভুল। অনুষ্ঠানে হাজির সকলকে তিনি জয় শ্রীরাম সম্বোধন করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু সংস্কৃতি হল এ দেশের সভ্যতা। এটাই আমাদের গনতান্ত্রিক মনোভাব শিখিয়েছে তাই এ দেশে গণতন্ত্র রয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।