দলীয় কর্মীদের কাছে 'গো ব্যাক' স্লোগান শুনতে হল তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে
দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীভাঙন কবলিত কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দারা বাঁধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বহুদিন ধরে। বৃহস্পতিবার সেখানে হাজির হন কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। আর তাঁকে হাতের নাগালে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়েই দলের টিকিটে জেতা কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)
বৃহস্পতিবার কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাক নদী সংলগ্ন গেদারচর এলাকায় পরিদর্শনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। সেখানে গেলে নিজের দলের কর্মীরাই চৈতিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে ঘিরে চলে 'গো ব্যাক' স্লোগান। সেই সময় ব্লক সভাপতিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বাসন্তী বর্মনের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চৈতিকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে কর্মাধ্যক্ষ বলেন, কোনও বিক্ষোভ নয়। এলাকার মানুষ দাবিদাওয়ার বিষয় আমার কাছে তুলে ধরেছে।
বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীবাঁধের দাবি উঠলেও কর্মাধ্যক্ষকে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। কিন্তু সকাল থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকায় হাজির হন। কী উদ্দেশ্য তাঁর? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, নিজের নির্বাচনী এলাকায় অবৈধভাবে রায়ডাক নদী থেকে বালি পাথর পাচারের জেরে ভাঙছে নদীবাঁধ। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু, কর্মাধ্যক্ষের তাতে কোনও হেলদোল নেই।
কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল নেতাদের কয়লা চোর, বালি চোর ও পাথর চোর বলেছি। এবার গ্রামবাসীরাও একই কথা বললেন। গ্রামের মানুষ যখন নেতাকে চোর বলছেন, তখন অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।