কে হচ্ছেন ওড়িশার প্রথম বিজেপি সরকারে মুখ্যমন্ত্রী, শুরু হয়েছে জল্পনা
ওড়িশা বিজেপির নেতৃত্ব (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে ওড়িশাতে (Odisha BJP) ব্যাপক জয় পেয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, লোকসভার নির্বাচনের সঙ্গেই সে রাজ্যের বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। লোকসভা নির্বাচনে ২১টির মধ্যে ২০টি আসন যায় গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে। অন্যদিকে ১৪৭ আসন বিশিষ্ট ওড়িশা বিধানসভায় ৭৮টি আসন দখল করে বিজেপি। ৪ জুন এই ফলাফল সামনে আসতেই খবর ভাসতে থাকে যে ১০ জুন ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। আর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ এনডিএ জোটের বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণের কারণেই আগামীকাল ১০ জুন ওড়িশার প্রথম বিজেপি সরকার শপথ নিচ্ছে না এবং তা নির্ধারিত করা হয়েছে ১২ জুন।
এমনটাই জানিয়েছে ওড়িশার (Odisha BJP) গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সে রাজ্যে শীর্ষস্থানীয় দলীয় নেতারা রবিবারের সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেন। ওড়িশা বিজেপি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথের কারণেই তা পিছিয়েছে। প্রসঙ্গত ১১ জুনও দলীয় সাংসদদের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। জানা গিয়েছে, ওড়িশা বিজেপিতে নির্বাচিত বিধায়কদের প্রথম বৈঠক ডাকা হয়েছে ১১ জুন এবং ঠিক তার পরের দিনই শপথ নেবে বিজেপি সরকার। প্রসঙ্গত নির্বাচনী জনসভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওড়িশায় দাবি করেছিলেন যে ১০ জুন নতুন বিজেপি সরকার শপথ নেবে রাজ্যে। একই কথা শোনা গিয়েছিল ওড়িশার বিজেপি সভাপতি মনমোহন সামালের মুখেও। কিন্তু রবিবারে এই পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে এবং শপথ গ্রহণ হবে বুধবার ১২ জুন।
এখনও পর্যন্ত জোর জল্পনা চলছে ওড়িশাতে (Odisha BJP) মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছেন তা নিয়ে। এক ঝাঁক নেতার নাম রয়েছে। এরই মধ্যে সিনিয়র বিজেপি নেতা তথা নবনির্বাচিত বিধায়ক সুরেশ পুজারীকে দিল্লিতে এসেছিলেন। এতেই জল্পনা তৈরি হয় তাঁর সমর্থকদের মধ্যে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে ওড়িশা থেকে লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন সুরেশ পুজারী। কিন্তু ২০২৪ সালে তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়। তবে তিনি ছাড়াও সে রাজ্যে আরও অনেক নাম রয়েছে। নাম রয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধানেরও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।