img

Follow us on

Sunday, May 05, 2024

C-295 Aircraft: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, এবার ভারতের হাতে এল ‘সি-২৯৫’, কী এর বিশেষত্ব?

Indian Air Force: দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকায় বাহিনী-সরঞ্জাম থেকে রসদ সরবরাহ করতে আর কোনও সমস্যা নেই ভারতের! ঘোর চিন্তায় পড়ল চিন-পাকিস্তান...

img

ভারতের হাতে এল প্রথম ‘সি-২৯৫’ মিডিয়াম ট্যাক্টিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট (ছবি প্রতীকী)

  2023-09-14 10:00:05

আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। অবশেষে ভারতের হাতে এল অত্যাধুনিক সামরিক পণ্য সরবরাহকারী বিমান ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার। এই বিমানকে বলা হচ্ছে ‘মুশকিল আসান’। কিন্তু, কেন? কী আছে এই বিমানে? কী এর বিশেষত্ব? পড়ুন বিস্তারিত।

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ‘সি-২৯৫’ মিডিয়াম ট্যাক্টিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট (C-295 Aircraft) এল ভারতের হাতে। বুধবার, স্পেনের সেভিয়া শহরে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরির হাতে এই বিমানের প্রতীকী চাবি তুলে দেন এয়ারবাসের কর্মকর্তারা। এই বিমানের উৎপাদন হয়েছে স্পেনে। তৈরি করেছে এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস।

২২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি এয়ারবাসের সঙ্গে

বর্তমানে ব্যবহৃত পুরনো আমলের এবং তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী অ্যাভরো-৭৪৮ বিমানকে অবসরে পাঠিয়ে তার জায়গায় নতুন শক্তিশালী, আরও প্রযুক্তিগত উন্নত এবং সর্বোপরি অধিক সক্ষমতার একটি পণ্য সরবরাহকারী বিমানের খোঁজে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই মোতাবেক, ২ বছর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ারবাসের সঙ্গে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’  (C-295 Aircraft) বিমান কেনার চুক্তি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, যার মূল্য প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। 

৫৬টির মধ্যে ৪০টি বিমান তৈরি হবে ভারতেই

চুক্তি মোতাবেক, ৫৬টি বিমানের মধ্যে প্রথম ১৬টি একেবারে ফ্লাই-অ্যাওয়ে কন্ডিশনে (সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায়) ভারতে উড়িয়ে আনা হবে। বাকি ৪০টি ভারতে তৈরি হবে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতে বিমানগুলি তৈরি হবে গুজরাটের ভাদোদরায়, যেখানে টাটার সঙ্গে যৌথ অংশিদারীতে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস-এর কারখানায়। 

এদেশে বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হওয়া প্রথম সামরিক বিমান

চুক্তিতে বলা হয়েছিল, স্বাক্ষর হওয়ার দিন থেকে চার বছরের মধ্যে ১৬টি ‘সি-২৯৫’ (C-295 Aircraft) বিমান ভারতের হাতে একেবারে তৈরি অবস্থায় তুলে দেবে এয়ারবাস। এদিন চুক্তির ঠিক ২ বছরের মাথায় প্রথম বিমানটি ভারতের হাতে তুলে দিল এয়ারবাস। ২০২৫ সালের অগাস্টের মধ্যে ১৬ নম্বর বিমানটি ভারতের হাতে চলে আসবে বলে এদিন আশাপ্রকাশ করেন এয়ারবাসের কর্তারা। ২০২৬ সাল থেকে ভাদোদরায় টাটাদের সঙ্গে যৌথভাবে শুরু হবে উৎপাদন, যা শেষ হওয়ার কথা ২০৩১ সালের অগাস্ট মাস নাগাদ। তেমনটা হলে, তা হবে ভারতের মাটিতে বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হওয়া দেশের প্রথম সামরিক বিমান।

কেন এই বিমান নিয়ে এত মাতামাতি? কী এর বিশেষত্ব?

জানা যাচ্ছে, ২৫ সেপ্টেম্বর ভারতে আসবে প্রথম বিমানটি। বর্তমানে, স্পেনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) পাইলটরা। প্রথম স্কোয়াড্রন থাকবে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। ‘সি-২৯৫’ বিমানগুলি প্রায় ৯ টন ওজন বহন করতে পারে। এদের গতি ঘণ্টায় ৪৮০ কিলোমিটার। মোট ৭১ জন সেনাকর্মী বা ৪৫ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যারাট্রুপারকে বইতে পারবে এই বিমান। আকাশ থেকে বাহিনী বা রসদ নামানোর জন্য রিয়ার ব়্যাম্প রয়েছে এই বিমানে।

এই বিমানে দুটি শক্তিশালী প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি টার্বোপ্রপ ইঞ্জিন রয়েছে যাতে ভর করে এই বিমানটি ১৩ ঘণ্টা টানা কম জ্বালানী খরচ করে উড়তে পারে। একটি ইঞ্জিনের সাহায্য এটি সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। ২টি ইঞ্জিন ব্যবহার করলে, এই বিমান ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এছাড়া, এই বিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, যুদ্ধবিমানের মতো মাঝ-আকাশেই জ্বালানি ভরতে সক্ষম ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার।

টেক অফের জন্য এই বিমানের প্রয়োজন মাত্র ৪২০ মিটার রানওয়ে। ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজন এর অর্ধেক। ফলে, ছোট বা সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়া এয়ারস্ট্রিপ থেকেও উড়ান দিতে পারবে এটি। এয়ারবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কাঁচা, নরম এবং বালুকাময় অথবা ঘাসের এয়ারস্ট্রিপ থেকে এর অসাধারণ শর্ট টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং (STOL) করার ক্ষমতা রয়েছে ‘সি-২৯৫’ (C-295 Aircraft) বিমানের।

কেন একে ‘মুশকিল আসান’ বিমান বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক?

বলা বাহুল্য, এই বিমান হাতে আসায় আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। কারণ, অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বায়ুসেনাকে। বিশেষ করে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে। সেনা ট্রাকে করে সড়কপথে বাহিনী বা সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছতে অনেক বিলম্ব হয়। এখন ভারতের হাতে ‘মুশকিল আসান’ বিমান (C-295 Aircraft) চলে আসায় এবার থেকে সেই সমস্যায় পড়তে হবে না বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এর ফলে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে মতো দুর্গম অঞ্চলে অতি সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

India news

Madhyom

national news

bangla news

Bengali news

defence news

Indian Air Force

India China border

C-295

airbus c-295

c-295 military transport aircraft

c-295 aircraft

iaf gets c-295

tata airbus c-295

india border troop transport


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর