img

Follow us on

Saturday, Jul 27, 2024

Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ধ্বংস করেই শাহি ইদগাহ মসজিদ! জানাল এএসআই

img

বাঁ দিকের মথুরা কৃষ্ণ মন্দির এবং ডান দিকে শাহি ইদগাহ মসজিদ। সংগৃহীত চিত্র।

  2024-02-06 15:06:21

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরায় মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব। কাশীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ছিল আদি বিশ্বনাথের মন্দির, এই খবরের পর ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) সম্পর্কে বড় খবর প্রকাশ্যে এল। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছে এএসআই। শাহি ইদগাহ মসজিদের উপর রিপোর্ট তলব করে আরটিআই করলে তার সাপেক্ষে এএসআই এই ঐতিহাসিক সত্যকে উত্তরপত্রে উল্লেখ করে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ তথা এএসআই, কৃষ্ণ জন্মভূমির মন্দির কমপ্লেক্সের ১৯২০ সালের একটি গেজেটের তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

কী বলেছে এএসআই (Krshina Janmabhumi)?

১৯২০ সালের নভেম্বর মাসে গেজেট থেকে আরটিআই-এর উত্তর দিয়ে তারা জানিয়েছে, “কাটরা ঢিবির অংশগুলি নাজুল প্রজাদের দখলমুক্ত ছিল। এক সময় সেখানে কেশবদেবের একটি মন্দির (Krshina Janmabhumi) ছিল। পরবর্তী সময়ে ওই মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। এই জায়গায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।”

আরটিআই করে তথ্য জানা গিয়েছে

মন্দির ভাঙা বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের ময়নপুরীর বাসিন্দা অজয় প্রতাপ নিজে আরটিআই করেন। এই আরটিআই-এর মাধ্যমে জানতে চান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের (Krshina Janmabhumi) বিষয়ে তথ্য। এরপর তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের ১৯২০ সালের গেজেটের রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়, এখন যেখানে মসজিদ, সেখানে আগে কাটরা কেশবদের মন্দির ছিল। এরপর মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। একই ভাবে অজয় প্রতাপ খুব স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছিলেন, মন্দির ভাঙা হয়েছিল কিনা। কিন্তু আরটিআই-এর উত্তরে কৃষ্ণ জন্মভূমি শব্দের উল্লেখ না করলেও মসজিদের জমি যে কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির কমপ্লেক্সের, একথা বলা হয়েছে। মুঘল সম্রাট এই কেশবদেবের মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণের কথা উত্তরপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়। ফলে এএসআইয়ের রিপোর্টকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চাল্যকর তথ্য উঠে আসে।

কৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নিয়াস সংগঠনের বক্তব্য

কৃষ্ণ জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) মুক্তি নিয়াসের সভাপতি আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং বলেন, “ব্রিটিশ শাসনকালে গণপূর্তি বিভাগ বিল্ডিং ও সড়ক বিভাগকে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানের ৩৯টি স্মৃতিস্তম্ভের তালিকা। এরপর তাকে রেকর্ড করা হয় গেজেটে। ১৯২০ সালে এলাহবাদ হাইকোর্টে প্রকাশ করা হয় এই রিপোর্ট। এই তালিকার ৩৭ নম্বরে উল্লেখ করা হয় কেশবদেবের মন্দিরকে। এই তথ্যকে বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাই এই প্রামাণ্য তথ্যের উপর নির্ভর করে একটি কমিশন গঠনের জন্য আবেদন করা হবে।”

শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির মূল বিবাদ কী?

শ্রীরামের জন্মস্থান অযোধ্যা, বাবা বিশ্বনাথের আদি মন্দির জ্ঞানব্যাপীর মতো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) নিয়েও বিরাট বিবাদ তৈরি হয়েছে। হিন্দুদের দাবি, অযোধ্যায় রাম জন্মভূমির মন্দিরকে যেমন বাবরের সেনাপতি মীরবাকি ভেঙে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিল, ঠিক একই ভাবে মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব ১৬৭০ সালে শ্রীকৃষ্ণের কেশবদেবের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এই এলাকার মোট বিবদমান জমির পরিমাণ ১৩.৩৭ একর। যার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের জমির পরিমাণ ১০.৯ একর। বাকি আড়াই একরে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। উল্লেখ্য কংসের যে কারাগারে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সেই কারাগারের গা ঘেঁষেই মসজিদ নির্মাণ হয়। ফলে কারাগার এবং যমুনা নদী পর্যন্ত দীর্ঘ সুড়ঙ্গ মসজিদের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে দাবি হিন্দু পক্ষের। তাই পুরো জমিটাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। এখানে মসজিদ অবৈধ নির্মাণ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Uttar Pradesh

bangla news

Bengali news

ASI

Shahi Idgah Mosque

Madhyam

rti

Krshina Janmabhumi

Aurangzeb Mughal Emperor

Demolished Temple


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর