img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

Sonia Gandhi: "পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী," বিস্ফোরক প্রাক্তন সেনা প্রধান...

img

পাকিস্তানকে সিয়াচেন উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী! ফাইল ছবি।

  2024-05-08 20:28:28

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটালেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেজে সিং। তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকার সিয়াচেন হিমবাহ তুলে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানের হাতে (Congress Treachery Exposed)। ভারতীয় সেনার ওপর আস্থা না রেখেই এহেন সংবেদনশীল একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার।

প্রাক্তন সেনা প্রধানের অভিযোগ (Congress Treachery Exposed)

জেনারেল সিং জানান, ২০০৬ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সেই সময় ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর ভরসা করতে পারেনি সরকার। জেনারেল সিংয়ের কথা যে নিছক গল্পকথা নয়, তার প্রমাণ প্রায় একই দাবি করেছেন প্রাক্তন বিদেশ সচিবও। তিনিও জানিয়েছিলেন, ২০০৬ সালে দুই দেশের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে দুই দেশই সিয়াচেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছিল।

কাঠগড়ায় ইউপিএ সরকার

নানা দিক থেকে সিয়াচেন ভারতের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে ঝড়-বৃষ্টি-তুষারপাত উপেক্ষা করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। এই সিয়াচেনকে রক্ষা করতেই হয়েছিল অপারেশন ‘মেঘদূত’। সেই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন আটশোরও বেশি জওয়ান। সেই সিয়াচেনকেই পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন ইউপিএ সরকার প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের মনমোহন সিং। জানা গিয়েছে (Congress Treachery Exposed), জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার পাক জঙ্গিদের সন্ত্রাস কড়া হাতে সামলাতে ব্যর্থ মনমোহন চেয়েছিলেন সীমান্ত সমস্যায় জর্জরিত সিয়াচেনকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে ভূস্বর্গে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। এর পুরো কৃতিত্ব কংগ্রেস নেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে দিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছিলেন ইউপিএর শরিক দলের নেতারা। তবে তৎকালীন সেনা প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর আধিকারিকদের তীব্র বিরোধিতায় স্বপ্ন সফল হয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউপিএ সরকারের ওই স্বপ্ন সফল হলে আর সুরক্ষিত থাকত না ভারতের সীমান্ত। কারগিল যুদ্ধের সময় পাক সেনা যেভাবে সিয়াচেন দখল করতে চেয়েছিল, সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে পারত ২০০৬ সালেই। সেক্ষেত্র গোটা কাশ্মীরের রাশ চলে যেত পাকিস্তানের হাতে।

বড় প্রশ্ন

ভারতীয় সেনার (Congress Treachery Exposed) ভূতপূর্ব জেনারেল বলেন, “প্রশ্নটা হল, যে সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হচ্ছেন জওয়ানরা, সেই সেনাই যখন সরকারকে পিছু হটার পরামর্শ দেয়নি, তখন কীসের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েছিল? এরকম ক্ষেত্রে সরকারের এই জাতীয় কাজ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিস্মিত করেছিল।” তিনি বলেন, “সিয়াচেনে ভারত যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তান। কারণ হাই অলটিটিউডে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা ভারতীয় সেনার রয়েছে। যা তাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সেনাদের নেই।” প্রাক্তন সেনা প্রধান বলেন, “ভারত সরকার এই প্রস্তাব (সিয়াচেন হিমবাহকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া) বিবেচনা করতে শুরু করলেও, আমার সঙ্গে একবারও কথা বলেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।” তাঁর অভিযোগ, পুরু বরফের চাদরে মোড়া সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে যেসব জওয়ান প্রাণ দিয়েছেন, কংগ্রেস সেই সব শহিদদের অপমান করার চেষ্টা করেছিল।

বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন সিয়াচেন

মনে রাখতে হবে, বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন হল সিয়াচেন। এই হিমবাহ প্রহরায় থাকা সেনা জওয়ানদের সব চেয়ে বড় শত্রু হল প্রতিকূল আবহাওয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৫ হাজার মিটারেরও বেশি। কখনও কখনও তাপমাত্রা পৌঁছে যায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রিতে। এখানে অক্সিজেনের মাত্র সমতলের প্রায় ১০ শতাংশ। তাই ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হিমবাহে পৌঁছলেই কমতে থাকে ওজন। বমি হতে থাকে। খিদে থাকেই না। সিয়াচেনে প্রায়ই ঘণ্টায় একশো মাইল বেগে ঝড় ওঠে। কখনও কখনও এই ঝড় টানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলে। এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কঠিন নয়, কঠিনতম। সেসব বাধা-বিপত্তি-প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই বছরভর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন দেশপ্রেমিক ভারতীয় জওয়ানরা।

আরও পড়ুুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

সারা বছরে সিয়াচেনে বরফ পড়ে ৩০-৪০ ফুট উঁচু। মাসের পর মাস স্নান না করেই থাকেন জওয়ানরা। কারণ স্নান করলেই বিপদ। দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। অক্সিজেন কম থাকায় অনেক জওয়ান হারিয়ে ফেলেন স্মৃতি। শরীরে থাবা বসায় তুষারক্ষত। এই ক্ষতের জেরে হাত-পা-আঙুল খোয়ানোর নজিরও রয়েছে। বিশেষ হেলিকপ্টারে করে এখানে থাকা সেনাদের পৌঁছে দেওয়া হয় রসদ। সেই কাজটাও করতে হয় ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে। কারণ না হলেই পাক গোলায় ধ্বংস হয়ে যাবে হেলিকপ্টারটিই।

প্রাক্তন সেনাপ্রধান বলেন (Congress Treachery Exposed), “দেশের সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করতে আত্মবলিদান দিচ্ছেন সেনারা। কিন্তু দুঃখের কথা কী জানেন, কংগ্রেস সরকার এটা ভুলে গিয়েছে। সিয়াচেনের অছিলায় ভারতের এই ভূখণ্ডটিকে পাকিস্তানকে উপহার দিতে প্রস্তুত ছিল তারা। সিয়াচেন হিমবাহ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ভেবেছিল কংগ্রেস সরকার। শান্তি ফেরাতেই এটা করতে চেয়েছিল তারা। তবে এর চেয়ে বোকা বোকা সিদ্ধান্ত আর কিছুই হতে পারে না।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

congress

Madhyom

pakistan

Sonia Gandhi

bangla news

Bengali news

Siachen

news in Bengali  

Congress Treachery Exposed

Treachery

former army chief


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর