Durga Puja 2023: নন্দীবাড়িতে বৃহৎ শঙ্খ বাজানোর পর শঙ্খচিল উড়তে দেখেই শুরু হত পুজো
img

Follow us on

Thursday, May 02, 2024

Durga Puja 2023: নন্দীবাড়িতে বৃহৎ শঙ্খ বাজানোর পর শঙ্খচিল উড়তে দেখেই শুরু হত পুজো

৩৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী আরামবাগের নন্দীবাড়ির দুর্গাপুজো

img

(বাঁ দিকে) আরামবাগের নন্দীবাড়ির দুর্গাদালান, (ডান দিকে) সেই বৃহৎ শঙ্খ। নিজস্ব চিত্র

  2023-10-15 17:31:06

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের প্রাচীনতম বনেদি বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল হাটবসন্তপুর গ্রামের নন্দীবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে এই নন্দীরা ছিলেন জমিদার। সেই সময় তাঁদের কোনও এক বংশধর পরিবারের সুখশান্তি কমনায় দালান বানিয়ে শিবদুর্গার আরাধনা (Durga Puja 2023) শুরু করেছিলেন। তখন থেকে একই ভাবে এই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোর বিশেষত্ব হল, এখানে হরপার্বতী অর্থাৎ শিবদুর্গার শান্ত মূর্তি পূজিত হয় এবং প্রাচীনতম বৃহৎ আকারের একটি শঙ্খ ও তামার জালা আছে সেই সময়কার, যা এখনও ব্যবহার করা হয় এই পুজোতে। কথিত আছে, ওই বৃহৎ শঙ্খ বাজানোর পর আকাশে শঙ্খচিল উড়তে দেখেই শুরু হত পুজো। এছাড়াও ওই বড় তামার জালায় নৌকায় করে গঙ্গা থেকে জল আসে পুজোর জন্য। সেই গঙ্গা জল দিয়েই চার দিন ধরে চলে পুজো।

ভগ্নদশা প্রাচীন দুর্গাদালানের (Durga Puja 2023)

পরিবারের সদস্যরা জানান, এখন জমিদারি প্রথা না থাকলেও আজও প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই পূজিত হন হরপার্বতী। তবে এখানে কোনও পশু বলি হয় না। এক সময় গোটা গ্রামের মানুষ পুজোর চার দিন নিমন্ত্রিত থাকত নন্দীবড়িতে। তবে তা এখন আর হয় না। পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে অনেকেই সারা বছর বাইরে থাকলেও পুজোর সময় সবাই ফিরে আসেন এই বাড়িতে। সকলে মিলে একসাথে পুজোর (Durga Puja 2023) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা, একে অপরের সাথে দেখা করা, সারা বছর ধরে জমিয়ে রাখা কথা, চার দিন ধরে চলে খুব আনন্দ। দশমীতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে বাড়ির আট থেকে ৮০ সকলেই। তবে নন্দীবাড়ির বতর্মান সদস্যরা পুজোয় আধুনিকত্ব বাড়ালেও এবং ভগ্নদশা প্রাচীন দুর্গাদালানের রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা করলেও বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেছে। চুনসুরকি দেওয়া ইটের দেওয়াল। শালের কড়িকাঠের উপর চুনসুরকির বানানো ছাদে ফাটল ধরেছে অনেক জায়গাতেই। প্রাচীন ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন নন্দী পরিবারের সদস্যরা।

হই হই করে কাটে পুজোর দিনগুলো (Durga Puja 2023)

নন্দী পরিবারের সব থেকে বয়স্ক সদস্য বর্তমানে প্রশান্ত নন্দী। বয়স প্রায় ৮৬ বছর। তিনি বলেন, আমার ঠাকুরদা, দাদু, বাবা সবাই একই ভাবে পুজো করেছে, তা দেখে এসেছি। তাই আমিও সেই দায়িত্ব পালন করছি। এখন পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই কর্মসূত্রে বাইরে চলে গেছে। কিন্তু পুজোর (Durga Puja 2023) সময়ে সবাই ফিরে আসে। আনন্দে হই হই করে কাটে পুজোর দিনগুলো। তবে আগের মতো এখন আর সেই জৌলুস নেই। গোটা গ্রাম নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয় না। পুজোয় আধুনিকত্ব বেড়েছে, কিন্তু কোথাও যেন একটা ভাটা পড়েছে। এই এত বড় দুর্গাদালান রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা করেও সম্ভব হচ্ছে না, বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ভেঙে ভেঙে পড়ছে চুনসুরকির ছাদ। আগামী দিনে হয়তো এই দুর্গাদালান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে স্মৃতি হয়ে যাবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Durga Puja 2023

bonedi barir pujo

puja parikrama 2023

arambagh nandi bari


আরও খবর


খবরের মুভি