img

Follow us on

Friday, May 03, 2024

Dakshin Dinajpur: বনবিজ্ঞানীর কৃতিত্ব অর্জন করলেন বালুরঘাটের রেখা মাহাতো, উচ্ছ্বসিত পরিবার

দেরাদুন বায়ো টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে বনবিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দিচ্ছেন রেখা মাহাতো। কীভাবে এল এই সাফল্য?

img

বালুরঘাটের কন্যা রেখা মাহাতো। নিজস্ব চিত্র।

  2023-07-27 08:27:33

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেয়ে বন বিভাগের বিজ্ঞানী হওয়ার অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন পরীক্ষায় পাশ করেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন রেখা মাহাতো। দেশের মধ্যে ২৭ জন এই সফল তালিকায় আছেন। তার মধ্যে শুধুমাত্র বায়ো টেকনোলজিরই আছেন চারজন। তার মধ্যে রেখা অন্যতম। আগামীতে দেশের বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে গবেষণা করবেন তিনি। রেখা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের রাবার বোর্ডে চাকরিও পেয়েছেন। গ্রামের মেয়ের বনবিজ্ঞানী হওয়ার সাফল্যে গর্বিত গোটা গ্রাম। কৃষক পরিবারের বছর পঁচিশের তরুণীর এমন সাফল্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলার মানুষ।

কী বললেন রেখা মাহাতো (Dakshin Dinajpur)?

রেখা মাহাতো বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে ছিল। গাছের প্রতি একটা আলাদা টান রয়েছে। তাই ছোটবেলা থেকেই কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। খুব ভালো লাগছে। আগামীতে গাছ নিয়েই গবেষণা করব। পাশাপাশি দেশের জন্যও কাজ করব। রেখার বাবা বিষ্ণুপদ মাহাতো ও মা জয়ন্তী মাহাতো বলেন, আমরা কৃষক পরিবারের হলেও খুব কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি। তবে মেয়ে এত দূরে পৌঁছবে কল্পনাও করতে পারিনি। মেয়ের জন্য খুব গর্ব হচ্ছে। রেখার বাড়ি বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। শুরু থেকেই লড়াইটা সহজ ছিল না। আত্মীয়ের বাড়িতে কিংবা ভাড়া বাড়িতে থেকেই স্কুলের গণ্ডি পার করেছেন। পরবর্তীতে কলকাতা ও দিল্লিতে থেকে পড়াশুনা করেছেন। বর্তমানে চাকরি সূত্রে থাকেন অসমে। তবে খুব শীঘ্রই দেরাদুনে বায়ো টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেবেন।

পরিবারের বক্তব্য

রেখার দুই দাদা অনুপ মাহাতো ও মানস মাহাতো বলেন, সীমান্তবর্তী এই গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে বোনকে। আজ ওর সাফল্যে গোটা গ্রাম খুশি। বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) শিক্ষক দীপক মণ্ডল বলেন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক থাকলে মানুষ সাফল্য পাবেই। রেখা তারই প্রমাণ। কিছুদিন আগেও বালুরঘাটের একছাত্র বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এবার বালুরঘাটের মেয়ে বিজ্ঞানী হচ্ছেন। জেলার এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত।

কীভাবে পড়াশুনা করেছেন?

জানা গিয়েছে, রেখা ২০১৩ সালে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের বাদামাইল হাইস্কুল থেকে ৮৮.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বালুরঘাট গার্লস স্কুল থেকে ৯২ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। কল্যাণীতে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। তারপর দিল্লির ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট থেকে এমএসসি পাশ করেন। ২০২২ সালে পরীক্ষা দিয়ে ভারত সরকারের অধীন রাবার বোর্ডে চাকরি পান। কিন্তু বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন থেকে সরে আসেননি। ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও ইন্টারভিউতে পাশ করেননি। অতঃপর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের পরীক্ষায় পাশ করে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্নপূরণ করলেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Dakshin Dinajpur

Balurghat

forest department scientist

Indian Council of Forestry Research and Education


আরও খবর


খবরের মুভি