নিয়োগ দুর্নীতির পক্ষে সওয়াল কেন মুখ্যমন্ত্রীর?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছেলেমেয়েগুলোর যাতে কোন ক্ষতি না হয় তাঁদের চাকরিটা ফিরিয়ে দিন...
ফের নিয়োগ দুর্নীতির পক্ষে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু কেন? এটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। ইডি অবশ্য বলছে, সাড়ে তিনশো কোটি টাকার প্রশ্ন!
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও রীতিমত ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত করে রাজ্যের সরকার, ঘুষ দিয়ে, টাকা দিয়ে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের চাকরিতে রেখে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল রাজ্য সরকার।
যদিও আদালতের নির্দেশে ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করতে পারেনি মমতার সরকার।
কিন্তু প্রশ্ন হল, নিয়োগ দুর্নীতির পক্ষে সওয়াল করতে, ঋষি অরবিন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকীর দিনটাকেই বা কেন বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা? কারণ
শিক্ষক হবেন টর্চ লাইটের মত। যিনি দিশা দেখাবেন। পথ দেখাবেন ছাত্রছাত্রীদের। ঋষি অরবিন্দ এমনটাই বিশ্বাস করতেন।
তাহলে যারা সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়ে, বা টাকা দিয়ে অথবা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা কোন দিশা দেখাবেন তাঁদের ছাত্রছাত্রীকে? কোন নীতি কথা শেখাবেন? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার আলিপুরে, বিচারপতি আর আইনজীবীদের সামনে বসিয়ে বুঝিয়েও দিয়েছেন, কিভাবের ঐ অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের চাকরিকে বৈধতা দিতে হবে।
"আইন অনুযায়ী যদি কোন ভুল হয়ে থাকে, তাহুএ তাঁদের সুযোগ দেওয়া হোক"
কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে মেধাবী, পরীক্ষা সফল, যোগ্য,এবং শিক্ষকতার চাকরির ন্যায্য দাবিদার, যারা ৭৩০ দিন আন্দোলনরত। দিন রাত গ্রীষ্ম বর্ষা শীত কাটছে রাজপথে তাঁদের চাকরির বিষয়ে একটি শব্দও ব্যবহার করেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে কি তাঁদের চাকরির দরকার নেই?
মুখ্যমন্ত্রী কি প্রভাবিত করতে চাইছেন আদালতের রায়কে? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা ও আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা!
বেআইনি নিয়োগ দুর্নীতির জন্যই চাকরি গেছে, সেখানে আইনগত ভুল কি?
প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই দুর্নীতির পরিকল্পনা করেননি তো? কারণ সারদা-নারদার পর নির্বাচনী ফান্ডে টান পরে তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই টাকা তুলতে রাজ্যের সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ টাকা রোজগারের পিরামিড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ যারা ধরা পড়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থেকে পর্ষদের কর্তা এস এস সি সভাপতি, জেলায় জেলায় তৃণমূল যুবার নেতারা। সবাই তাঁর দলের। সবাই তৃণমূলের নেতা। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালী।
আসলে বৃত্ত ছোট হচ্ছে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের গৃহবধু কাজরী ব্যানার্জির সঙ্গে নাম জুড়ছে ভবানিপুরের ব্যবসায়ী বিট্টাদের নাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার কারণে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে। আর তৃণমূলের সেই সব নেতাদের সঙ্গেই অভিষেক ব্যানার্জির ছবি সামনে আসছে। আসছে অভিষেক ঘনিষ্ঠ কালীঘাটের কাকু সুজয় ভদ্রের নাম যাকে আজই ডেকেছিল ইডি।
অনেক আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ৪০হাজার মানুষের চাকরি যাবে।
চাকরি যাওয়ার তালিকা যেভাবে লম্বা হচ্ছে এবার সেই মিছিল যদি কালীঘাটে পৌছায় তাহলে বিপাকে পড়বেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে এই চাকরি যাওয়া পরিবারগুলি পালটা মত জানালে মমতার সরকারটাই পড়ে যাবে।
সেই কারণেই কি নিয়োগ দুর্নীতির পক্ষে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর? বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার রাজনৈতিক চাল? জানতে চাইছে বাংলা।
Tags:
SSC recruitment scam
Mamata Banerjee
Madhyom
CM Mamata Banerjee
bangla news
Bengali news
Recruitment
Teacher Recruitment scam
mamata banerjee speech
mamata banerjee news
Recruitment scam
mamata banerjee latest
bengal cm mamata banerjee
recruitment scam news
mamata banerjee today
west bengal ssc recruitment scam
west bengal recruitment scam
Teachers Recruitment
recruitment scam update
recruitment scam news update
recruitment scam latest news
recruitment scam latest update
group c recruitment scam
middle man in recruitment scam
recxruitment scam
in favor of
in fevor
fevor
mamata in fevor of scam
cm in fevore of scam
cm mamata in fevor of recruitment scam