মেঘালয়ে গিয়ে কেন কোকিলের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর?
মেঘালয়ে গিয়ে কেন পাখির ডাক মুখ্যমন্ত্রীর? সেকথা শোনাব পরে। তবে বাংলার কেলেঙ্কারি ঢাকতে পাহাড়ে গিয়ে তিনি কি রূপ নিলেন, সেটাই তুলে ধরব প্রতিবেদনে। বুধবার উত্তর পূর্বের ৩ রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। আর এদিনই ভোট ঘোষণার ঠিক আগে মেঘালয়ে গিয়ে সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাইপো অভিষেক, গরু পাচার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই যাঁকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বাংলায় যখন কেলেঙ্কারির বোঝায় নাভিশ্বাস তৃণমূল সরকারের, তখন পাহাড়ে গিয়ে কিছুটা কি হাঁফ ছাড়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী? পাহাড়ি জনসভায় তৃণমূলের কেলেঙ্কারির কথা ভুলে গিয়ে বিজেপিকেই ঘুষ খাওয়ার অভিযোগে দায়ী করতে চাইলেন। তাঁর কথায় প্রশ্ন উঠেছে পাহাড়ি জনপদেই।
মুখ্যমন্ত্রীই বলছেন, বারবার কাউকে বোকা বানানো যায় না। বাংলায় যা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন দিদির দূতেরা। জনতার প্রশ্নের মুখে নাভিশ্বাস উঠছে মমতার প্রতিনিধিদের। আর মেঘালয়ে গিয়ে সততার বাণী শোনাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে যখন মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গোয়ায় তৃণমূলের ধরাশায়ী অবস্থার কথা, তখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সেই বিজেপির দিকে আঙুল তুলছেন তিনি।
ঘরে বাইরে দলের নাজেহাল পরিস্থিতির মধ্যে মেঘালয়ে যখন মাটি খোঁজার চেষ্টায় তৃণমূল, তখন হঠাৎ সুরেলা মমতা। তিনি নাকি কারুর নাম জানতে গিয়ে সন্ধান পেয়েছেন সেই সুরের। কেমন সেই সুর, শুনুন।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পা দিয়ে সর্বত্রই ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল। এবার পাহাড়ি পথে যাত্রা। দুর্নীতির অভিযোগের বোঝে পিঠে নিয়ে তৃণমূল সেখানে কতটা পাকদণ্ডি পেরোতে পারে, সেটাই দেখার।