ফের রাজ্যে বেহাল শিক্ষা ব্যবস্থার ছবি প্রকট
বিএড কলেজগুলিতেও দুর্নীতির গন্ধ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার অভিযোগে রাজ্যের ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল হল। রাজ্যে মোট ৬২৪টি বিএড কলেজ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকার সাপেক্ষে রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭১টি বিএড কলেজকে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাকি ২৫৩টি বিএড কলেজ কোনও অনুমোদন পায়নি বলেই খবর। কেন্দ্র বাতিল করেছে ১৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন।
রাজ্যে প্রায় ২৫০টি বিএড কলেজের পুনর্নবীকরণের অনুমতি দেওয়া হতে পারে না এই আশঙ্কা আগেই ছিল। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের নিয়ম মোতাবেক, এই কলেজগুলিতে শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের একটি নির্দিষ্ট অনুপাত বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। কোনও কলেজে যদি শিক্ষক কম থাকে তাহলে কোনওভাবে তা চলবে না। কোনও কলেজে যদি শিক্ষক কম থাকে এবং সেখানে নতুন করে পড়ুয়াদের ভর্তি করা হয় সেক্ষেত্রে তাঁদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে। বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির তরফে মাস খানেক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এনসিটির ২০১৪ সালের রেগুলেশন মেনে চলতে হবে। সেই রেগুলেশন যে কলেজগুলি মেনে চলতে পারবে না, সেগুলিকে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হবে না। এমনকী বেশ কয়েকটি বিএড কলেজে ভুয়ো ফায়ার সেফটি লাইসেন্স ব্যবহারের অভিযোগও এসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে সম্পন্ন ভারত-মার্কিন ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত হল?
রাজ্যে ছাতার মতো গড়ে উঠেছে একের পর এক বি এড কলেজ। সেই বিএড কলেজগুলিতেও দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে রাজ্যের বি.এড বিশ্ববিদ্যালয়, বলে অনুমান শিক্ষামহলে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই উঠে এসেছে বিএড কলেজগুলির থেকে ফেক সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো তথ্য। বি এড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনারা দেখছেন নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কয়েকটি বিএড কলেজ থেকে ফেক সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই এবার আমাদের কড়া হওয়ার প্রয়োজন ছিল। দুর্নীতি হয়েছে কী হয়নি তা পরবর্তীকালে বিচার ব্যবস্থা বিচার করবে। তবে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকলে অনুমোদন দেওয়া যেবে না। ”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।