West Bengal: দুর্গাপুজোর আগে ফের বৃষ্টির আশঙ্কা, ভিজতে পারে রাজ্যের কোন কোন জেলা?
ফের রাজ্যে নিম্নচাপের আশঙ্কা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। উৎসবের আনন্দ মাটি করে দিতে পারে নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এমনিতেই রাজ্যের (West Bengal) একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলায় গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। ফলে, নতুন করে নিম্নচাপ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর তা ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather Update) অফিস। এর জেরে ২৩ তারিখ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে। এই আবহে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি গাঙ্গেয় বঙ্গে। তবে, সেটি কতটা শক্তিশালী হবে, বা তার অভিমুখ কোন দিকে থাকবে, তা এখনই স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কয়েকদিনে এই বিষয়ে সবিস্তারে জানানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। এদিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণবঙ্গে সামান্য বৃষ্টি হবে। ওই দু'দিনই দক্ষিণবঙ্গের কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে ওই দু'দিন কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে না।
আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু
এছাড়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি হবে না শুক্রবার এবং শনিবার। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। ওই তিনটি জেলার আবহাওয়া (Weather Update) শুষ্ক থাকবে। প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের জেরে যে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে, তা বন্ধ হয়েছে। আগের তুলনায় পরিমাণ অনেকটা কমলেও বৃহস্পতিবার রাতেও পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে মোট ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ অংশ এখনও জলের তলায়। মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকলে আর জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমলে বন্যা পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু আগামী সপ্তাহের গোড়ায় নতুন নিম্নচাপ তৈরি হলে তার জেরে হওয়া বৃষ্টিতে ফের রাজ্যের একাংশ প্লাবিত হবে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কাও ঘনাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।