img

Follow us on

Thursday, Apr 25, 2024

Scam: তৃণমূলের মন্ত্রীর স্ত্রীও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! কোথায় জানেন?

তৃণমূলের মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ। আদালত আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

img

ফাইল ছবি

  2023-03-18 20:41:04

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর না কেটেই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। বড়সড় এই দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়িয়েছে খোদ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না রানি বর্মনের। দলেরই এক নেতা এই অভিযোগ করেছিলেন। যা নিয়ে উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। তবে, এখন আর এটা শুধু অভিযোগ নেই, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হতেই তাঁকে ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর অঞ্চলের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায় পুকুর খনন নিয়ে মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শনিবারই ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগের তদন্তে জেলায় এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এদিন জেলার ইটাহার ব্লকে যান। সেখানে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন। অনেক জবকার্ডধারীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।

মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে? Scam

একশো দিনের প্রকল্পে জগদীশপুর পঞ্চায়েতে ২১ টি পুকুর খনন করা হয়। তারজন্য প্রায় ২২ লক্ষ টাকা সরকারি অর্থ খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে পুকুর না কেটেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই আর্থিক তছরূপের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যোৎস্না রানি বর্মন। এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের  জগদীশপুর অঞ্চলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মেহেতাব আলি। তিনি জেলা শাসক সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। প্রশাসন সেই অভিযোগের গুরুত্ব না দেওয়ায়, তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।  আদালত উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জেলা প্রশাসন খাড়ি সরিয়াবাদ গ্রামের তিনটি পুকুর খননের তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেন। আদালত সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধানকে ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

তৃণমূলের  জগদীশপুর অঞ্চলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মেহেতাব আলি বলেন, তিনটি পুকুর নয়, আরও ১৮টি পুকুরে দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে। প্রশাসনের সব পুকুর খতিয়ে দেখে যে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে তার সঠিক বিচার করা দরকার। আর টাকা ফেরতের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে,জগদীশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোৎস্নারানির স্বামী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে, জগদীশপুর অঞ্চলটি বন্যা প্রবণ এলাকা। ২০১৮ সালে পুকুর খনন করা হয়েছিল। পুকুর মাপা হল ২০২৩। বন্যার সময় পলি জমে পুকুরের নাব্যতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘ কয়েক বছর পর পুকুরের মাপ হওয়ায় সঠিক তথ্য না পাওয়ায় আদালত এধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিযোগকারী মেহেতাবের চরিত্র এবং  দলে তার অবস্থান নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

High Court

bangla news

Bengali news

Raiganj

scam

Central Team

Minister

panchyat

mgneraga


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর