বিজেপির আন্দোলনের চাপে পড়ে পুলিশ কী করল জানেন?
শান্তিপুর থানা, ধৃত তৃণমূল কর্মী (ইনসেটে) (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবি মতো কালীপুজোর চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় এক চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) থানার ফুলিয়ার একটি ক্লাবের ছেলেরদের বিরুদ্ধে। এই হামলার মূল অভিযুক্ত ছিলেন চাঁদ ঘোষ। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। অবশেষে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ নভেম্বর নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) থেকে ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ফুলিয়া ঘোষপাড়ায় কালীপুজোর চাঁদা আদায়কারীদের হাতে আক্রান্ত হন চিকিৎসক সুজন দাস। সেই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় আক্রান্ত চিকিৎসক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আক্রান্ত চিকিৎসককে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে, হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ টালবাহানা করছিল বলে বিরোধীদের অভিযোগ। যদিও চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল বিজেপি। আক্রান্ত চিকিৎসককে দেখা করে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবারই বিজেপির পক্ষ থেকে হামলাকারীদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নামে বিজেপি। সেখানেই পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। যদিও পরবর্তীতে পুলিশ আশ্বস্ত করে মূল অভিযুক্তকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশের আশ্বাস পেয়ে বিজেপি আন্দোলন প্রত্যাহার করে। যদিও ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই অভিযুক্ত চাঁদ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশের সময় লেগে গেল সাত দিন। তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত বলেই গ্রেফতারিতে গাফিলতি ছিল পুলিশের। আমরা আন্দোলন করে দাবি জানিয়েছিলাম। চাপে পড়ে হলেও পুলিশের টনক নড়েছে দেখে খুব ভাল লাগছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান সুদীপ প্রামাণিক বলেন, চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সত্যিই চাঁদ ঘোষ অপরাধ করে থাকে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। আইন আইনের পথে চলবে। এই সব ক্ষেত্রে দল কোনও পক্ষ নেবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।