লোডশেডিংয়ে জেরবার! মোবাইলের আলোয় চিকিৎসা!
অপারেশন থিয়েটার, বলরামপুর হাসপাতাল (ইনসেটে) (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উদ্যোগী নয় রাজ্য সরকার। আর এই লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়ল হাসপাতাল পরিষেবায়। অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসব। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে এখন এটাই চেনা চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে পুরুলিয়া (Purulia) জেলাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে প্রতিদিন কয়েকশো রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালে বহু রোগী ভর্তি থাকেন। প্রসূতিদের নিয়মিত ডেলিভারি হয় এই হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, পরিষেবার জন্য জেনারেটর সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে এক ঠিকাদার সংস্থা। সেই সংস্থাকে টাকা না দেওয়ায় জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই হাসপাতাল ডুবছে অন্ধকারে। এর জেরে চিকিৎসা করতে যেমন সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা, তেমনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদেরও। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে প্রসূতিদের। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসবও হচ্ছে এই ভাবে। শুধু বিদ্যুৎ নয়, দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালে জলকষ্ট, শৌচালয় অপরিষ্কার ও হাসপাতাল চত্বর বিষাক্ত আগাছায় ভরে থাকার সমস্যা রয়েছে।
হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে বলরামপুরের বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতো বলেন, হাসপাতালে প্রায়শই বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। হাসপাতালের মতো জরুরি বিভাগে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা করা দরকার। কিন্তু, সেটা করা হয়নি। তাতে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চিকিৎসকদের সমস্যা হচ্ছে। পুরুলিয়ার (Purulia) বলরামপুরের এই হাসপাতালের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ তিনি করবেন বলেও জানিয়েছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. কুনাল কান্তি দে বলেন, বিষয়টি আমাদের গোচরে রয়েছে। জেনারেটর নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা ঠিকাদার সংস্থার টাকা বকেয়া থাকার কারণেই হয়েছে। এবার তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে রোগীদের কোনওরকম অসুবিধায় না পড়তে হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।