Nadia: কৃষ্ণনগরে নির্যাতিতার ময়না তদন্ত এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী...
কৃষ্ণনগরে নির্যাতিতার বাড়িতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে মণ্ডপের সামনে তরুণীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কৃষ্ণনগরের রানিমাকে সঙ্গে করে মৃতার পরিবারের সঙ্গে শনিবার দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রতিশ্রুতি দিলেন আইনি সাহায্যেরও। একইসঙ্গে নির্যাতিতার ময়না তদন্ত এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ময়না তদন্তে আত্মহত্যা বলে লেখা থাকবে। কারণ, তৃণমূলের চিকিৎসকরা এই ময়না তদন্ত করেছে। পুলিশ ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমি এবং এখানকার সাধারণ মানুষ ও পরিবার এক যোগে বলতে চাই, নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক অভিযুক্ত এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পরিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্ত দাবি করেছে। আমরা সিনিয়র আইনজীবী দেওয়ার ব্যবস্থা করব। পরিবার কথা বললে তাঁরা যে আইনি সাহায্য চাইবে আমরা তাঁদের পাশে থাকব। ’’
কৃষ্ণনগর শহরে নির্যাতিতা কিশোরীর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের কঠোরতম শাস্তি তথা বিচারের দাবিতে পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শ্রী @SuvenduWB সহ বিজেপি বিধায়কগণ ও জেলা নেতৃত্ববৃন্দ। pic.twitter.com/j9fEHUiAHJ
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) October 19, 2024
লক্ষ্মীপুজোর দিন, বুধবার সকালে নদিয়া জেলা স্টেডিয়ামের পাঁচিলের ধারে দুর্গাপুজোর ফাঁকা মণ্ডপে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, খুন করা হয়েছে মেয়েকে। এদিন রানিমাকে সঙ্গে করে নির্যাতিতার বাড়িতে যান শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘খুনই করা হয়েছে তরুণীকে। ধামাচাপা দিতেই আত্মহত্যার তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। যেখান থেকে এই দেহ উদ্ধার হয়েছে তার কিছু দূরেই পুলিশ সুপারের অফিস! তাই স্বাভাবিকভাবে আরও বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মধ্যে।
LIVE: কৃষ্ণনগরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি বিরোধী দলনেতা শ্রী @SuvenduWB https://t.co/Z9PzvNX0VK
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) October 19, 2024
স্থানীয় সূত্রে খবর ছিল, রাস্তার ধারে পড়ে ছিল তরুণীর অর্ধনগ্ন এবং অর্ধদগ্ধ দেহ। এলাকাবাসী মনে করছে, ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে তাঁকে। আর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় মুখ এবং শরীরের একাংশ। সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি জানিয়েছিলেন, ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি স্পেশ্যাল ইনভেসটিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিআইডিও ঘটনার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই একের পর এক খবর উঠে আসছে গোটা ঘটনা নিয়ে। এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসে পুলিশকে তুলোধনা করলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।