img

Follow us on

Friday, Oct 11, 2024

CBI: আরজি করের টেন্ডারের চিঠিও টালা থানার ওসিকে দিয়েছিলেন সন্দীপ, আর কী পেল সিবিআই?

Sandip Ghosh: সন্দীপের বাড়িতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল সিবিআই....

img

সন্দীপ-টালা থানার প্রাক্তন ওসির চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে (সংগৃহীত ছবি)

  2024-09-21 14:33:11

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ থাকাকালীন 'বেতাজ বাদশা' হয়ে উঠেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালে অনুগামীদের নিয়ে আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর (CBI) সিজার লিস্টে সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যা দেখে হতবাক হয়ে যান সিবিআই কর্তারা।

সন্দীপের বাড়িতে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে ২৮৮ পাতার আরটিআই-এর কপি ও অভিযোগপত্র। পাওয়া গিয়েছে ৭৩০ পাতার টেন্ডার সংক্রান্ত নথিও। সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে মিলেছে অভ্যন্তরীণ কমিটির ৫১০ পাতার গোপন রিপোর্ট। যে সব নথি সন্দীপ ঘোষের অফিসে থাকার কথা সেগুলি তাঁর বাড়িতে কেন ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) সরকারি ই-টেন্ডারের সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। ই-টেন্ডারের চিঠি কেন টালা থানার ওসি-কে দেওয়া হয়েছিল জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ষড়যন্ত্রে যোগসাজশ সন্দীপ-অভিজিতের

ইতিমধ্যেই আরজি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে যোগসাজশ ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবি করেছে সিবিআই। রিমান্ড লেটারে কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) দাবি, ৯ অগাস্ট দুপুরে আর জি কর মেডিক্যালের সুপারকে দিয়ে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) টালা থানায় যে অভিযোগ করিয়েছিলেন, তাতে সঠিক তথ্য ছিল না। এমনকী, জেনে বুঝে আত্মহত্যার তত্ত্ব ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই আরও দাবি করেছে, গোটা ঘটনাটাকে গুরুত্বহীন করে দেখাতে চাওয়ার জন্যই তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি তৎকালীন অধ্যক্ষ। এমন ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যা করণীয়, তাতেও গাফিলতি দেখিয়েছেন সন্দীপ। ৯ অগাস্ট সকাল ১০টা ৩ মিনিটে টালা থানার ওসি-কে ফোন করলেও সন্দীপ নিজেই এক ঘণ্টা দেরিতে হাসপাতালে যান। রিমান্ড লেটারে দাবি করেছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

ওসির ওপর প্রভাবশালীর চাপ!

জানা গিয়েছে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতের ওপরে প্রভাবশালীর চাপ ছিল। এক সিবিআই (CBI) আধিকারিক বলেন, 'খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ময়নাতদন্ত করানোয় স্থানীয় ওসি বা তদন্তকারী অফিসারের ওপরে প্রভাবশালীর চাপ ছিল বলে সন্দেহ বাড়ছে। এমনকী দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের সব সম্ভাবনা নির্মূল করে রাতেই মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্যেও ওসি-র ওপরেও প্রভাবশালীরা কলকাঠি নাড়ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে।' তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ যাতে দ্বিতীয়বার কোনও মতে ময়নাতদন্ত না করা যায়, তার জন্যেই অভিজিৎবাবু অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন বলে সূত্র মিলেছে।

ওসি-র মাথার ওপর কে কলকাঠি নেড়েছে?

এক সিবিআই আধিকারিক বলেন, 'অনায়াসে রাতে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যেত। কিন্তু পুলিশ রাতেই দাহ কাজ সারতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তদন্তকারীদের এমন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জোরালো কারণ রয়েছে।' সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, দেহ ময়নাতদন্ত করা বা না-করা নিয়ে সব সিদ্ধান্ত একা ওসি-র পক্ষে নেওয়া সম্ভব ছিল না। সেদিন মৃতার মা, বাবা তো দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের অনুরোধও করেছিলেন। এই আবহে ধৃত অভিজিতের ফোনের কিছু নথি থেকে বেশ কিছু সূত্র মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আবহে টালা থানার অতিরিক্ত ওসির সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাও বলেছে সিবিআই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

cbi

Madhyom

West Bengal

bangla news

Bengali news

rg kar

Sandip ghosh


আরও খবর


ছবিতে খবর