img

Follow us on

Sunday, Dec 01, 2024

Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী-মেয়েকে ডাকবে ইডি! রেশন দুর্নীতির তদন্তে তলবের সম্ভাবনা যে কোনও দিন

Jyotipriya Mallick: কীভাবে চলত রেশনের কালো চক্র, কেন ধৃত বনমন্ত্রী? জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা

img

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক।

  2023-11-08 12:07:10

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে এবার তলব করা হতে পারে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শীঘ্রই তাঁদের ডাকা হবে  সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে। ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়ের গ্রেফতারি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 

দুর্নীতিতে যুক্ত মন্ত্রীর স্ত্রী-কন্যা!

রেশন মামলায় বালু এখন ইডির হেফাজতে। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রীকে ইডির হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্তে নেমে আগেই ইডি দাবি করেছে যে, ওই দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যারও। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর বালুর এক আপ্ত সহায়কও জানিয়েছিলেন যে, স্ত্রী এবং মেয়েকে দিয়ে সই করিয়ে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর করেছিলেন মন্ত্রী। বস্তুত, কী ভাবে মন্ত্রী-পত্নীর সম্পত্তি এক বছরে ৪৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৬ কোটি হয়েছে, তা নিয়ে মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারকও। ইডির দাবি, স্ত্রী এবং মেয়েকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। এই ভাবে নামে-বেনামে তিনি জমি, বাড়ি এবং হোটেল কিনেছেন।

কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে?

রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই গুচ্ছ গুচ্ছ তথ্য ইডির অফিসারদের হাতে এসেছে। ইডি তদন্তে নেমে জানতে পারে, পিডিএস-এর অন্তর্গত ৩০ শতাংশ রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড, আরএসকিওয়াই, অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার সুবিধাভোগীরা। এই দুর্নীতির লাভ পেতেন চালকলের মালিক এবং পিডিএস বণ্টনকারীরা। পাশাপাশি, কৃষকদের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে ধানচাষীদের জন্য বরাদ্দ ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও আত্মস্যৎ করতেন। এই কাণ্ডে অন্যতম প্রধান এক সন্দেহভাজন জানিয়েছেন, এক কুইণ্টালে ২০০ টাকা করে আয় করতেন চালকলের মালিকেরা। যা আদতে কৃষকদের থেকে পাওয়ার কথা ছিল সরকারি সংস্থাগুলির।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেককে তলব ইডি-র, বৃহস্পতিবারই হাজিরার নির্দেশ

ইডির দাবি, রাজ্য পুলিশের কাছে বেশ কিছু এফআইআর হয়েছিল, যেখানে অভিযোগ ছিল রেশনের আটা বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই মজুত করা হচ্ছিল এবং বিক্রি করা হচ্ছিল। আবার কলকাতা পুলিশের কাছেও বেশ কিছু এফআইআর হয়েছিল বলে দাবি ইডির। সেই এফআইআরগুলিতে অভিযোগ ছিল, ভুয়ো কৃষকদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে শস্যের ন্যূনতম সহায়কমূল্য আত্মসাৎ করে নিচ্ছে চালকল মালিকরা। প্রাথমিকভাবে এই অভিযোগগুলির ভিত্তিতেই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর ইডি তদন্ত শুরু করতেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Enforcement Directorate

bangla news

ED

bakibur rahaman

jyotipriya mallick

Bengal Ration Case


আরও খবর


ছবিতে খবর