RG Kar Rape-Murder: রিপোর্টে ‘ধর্ষণ’ কথা বাদ দিতে বলেছিলেন সন্দীপ ঘোষ! বড় অভিযোগ সুকান্তর…
ধর্মতালার ধর্না মঞ্চে সুকান্ত মজুমদার। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থেকে শুরু করে মেয়েদের রাত দখল, একাধিক সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের লাগাতার মিছিল-অভিযান, ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন— জনমনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। সিবিআই-এর তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) অভিযোগ তুলে বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ না লেখার জন্য চিকিৎসকদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়ে বলেন, “৯ অগাস্টের দিন থেকেই ধর্ষণ করে খুনের বিষয়ে পুলিশ তৃণমূলের নির্দেশে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। নির্যাতিতার বাড়ির লোকজনকে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল। হাসপাতালের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যাণ্ট সুপার দাবি করেছেন, খবর শুনে পরিবার অসুস্থ হতে পারেন তাই আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন। চাদর বদলের অভিযোগ উঠেছে, একটি ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে ঘটনাস্থলে থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। ময়না তদন্তের রিপোর্টের শেষ লাইনে লেখা হয়েছে ধর্ষণ। সেই লাইনটা বাদ দিতে চেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর দলবল। তবে যাঁরা তদন্ত করেছিলেন তাঁদের মধ্যে দুই মহিলা চিকিৎসক বলেন, এই লাইন বাদ দিলে আমরা সই করব না। আমি ধন্যবাদ জানাই ওই দুই মহিলা চিকিৎসককে।”
আরও পড়ুনঃ ‘‘আপনার মা-বোনেদের...’’! কুরুচিকর মন্তব্য তৃণমূল নেতার, তুলোধনা সুকান্তর
আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মাত্র সঞ্জয় রায়কেই গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে নেমেছে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষকে টানা জিজ্ঞাসবাদ করছে সিবিআই। দেহপাচার থেকে আর্থিক তছরুপ, প্রায় ১৫টি অভিযোগ ঝুলে আছে সন্দীপের মাথার উপর। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি শ্যামবাজারের পর ধর্মতলায় টানা ধর্না অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের মহিলা কমিশনের দফতরে মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে অভিযান করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জেলায় জেলায় থানা এবং ব্লক অফিস ঘেরাও কর্মসূচিও করছে বিজেপি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।