হলদিয়ার সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
সমবায় সমিতি (ছবি সংগ্রীহিত)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় একটি সমবায় ব্যাঙ্কে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার কলালপুর কৃষি সমবায় সমিতিতে। দুষ্কৃতীরা সমবায় ব্যাঙ্কে হানা ১২ লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়েছে। খবর পেয়ে সুতাহাটা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে পুরুলিয়া ও রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ব্যাপক লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। রানাঘাটে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইও হয় ডাকাত দলের সদস্যদের। দুটি ডাকাতির ঘটনায় কয়েক কোটি টাকা লুট করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিন দুপুরে সমবায়ে একজন হেলমেট পড়ে ঢোকেন। ক্যাশিয়ার ওই ব্যক্তিকে হেলমেট খুলতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি বন্দুক বের করে। তার সঙ্গে আসা দুষ্কৃতীরাও সমবায়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। দুষ্কৃতীরা (Dacoits) সিসিটিভির হার্ডডিস্ক চায়। একইসঙ্গে লকারের চাবিও চায় তারা। সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মীরা প্রথমে চাবি দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু সেই সময় দুষ্কৃতীরা গুলি চালানোর হুঁশিয়ারি দেয়। তারপর ক্যাশিয়ারকে নিয়ে গিয়ে তারা লকার খোলায়। লকার খোলানোর পর চলে লুটপাট। ছিঁড়ে দেওয়া সিসিটিভির সমস্ত তারও। কয়েকজনের ফোন ভেঙে দেওয়া হয়। আর কয়েকজনের ফোন নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার আগে সমবায়ের একটি শৌচাগারে সবাইকে বন্দি করে দেয় ডাকাতরা। হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে সমবায় সমিতির ম্যানেজার অপূর্ব দাস বলেন, এক ব্যক্তি ঘটনার আধ ঘণ্টা আগে এল। এসে বলল ১৪ বছরের বাচ্চার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ডকুমেন্টগুলো কর্মীরা বলে দিলেন। সে বলল তার একটি ডকুমেন্ট নেই। আমি শুনলাম। আমি কথাও বললাম। তারপর সে চলে গেল। সেই ঘটনার আধ ঘণ্টা পর দুষ্কৃতীরা (Dacoits) ঢোকে। ২ জনের হাতে অগ্নেয়াস্ত্র ছিল। একজনের হাতে ভোজালি ছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।