বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে লাশ পাচার...
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কয়লা, বালি, পাথর, মাটি, রেশন, চাকরি দুর্নীতির পর আরও এক দুর্নীতির খবরে তোলপাড়। আর তা হল মেডিক্যাল থেকে লাশ পাচারের দুর্নীতির খবর। একটা সময় রাজ্য কাটমানি ইস্যুতে তীব্র উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। শাসক দলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল, মৃতদেহ দাহ করতে গেলেও কাটমানি নেওয়া হয়। এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Burdwan Medical College) থেকে পচা লাশ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এমন ভয়ানক ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Burdwan Medical College) থেকেই পাচার হতে চলেছিল পচা লাশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যানাটমি বিভাগের মৃতদেহ রাখার ঘর থেকে তিনটে লাশ পাচার করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। উল্লেখ্য পাচারের আগেই ঘটনার কথা ফাঁস হয়ে যায়। মৃতদেহ পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক চালক সহ মোট সাত জন। এই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হাসপাতালের আরও চারজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
লাশ পাচারের কথা জানিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের (Burdwan Medical College) প্রিন্সিপাল কৌস্তভ নায়েক বলেন, “মৃত দেহগুলি চুরি করা হচ্ছিল, আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।” পুলিশের ডিএসপি ট্রাফিক রাকেশ চৌধুরি বলেন, “অভিযুক্তদের মধ্যে চালক সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছিল সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
গত অক্টোবর মাসে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়, এসএসকেএম, এনআরএস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে মোট ২০ টি মৃতদেহ মণিপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে দান করা হবে। এর ফলেই জটিলতা তৈরি হয়। প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বর্ষে ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য ৬ টি দেহই পর্যাপ্ত। তাই মণিপুর মেডিক্যাল কলেজের জন্য ২০ টি মৃতদেহ কেন? ফলে অতিরক্ত মৃতদেহ কী করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যেই বর্ধমান মেডিক্যাল (Burdwan Medical College) থেকে লাশ পাচারের ঘটনায় এই লাশ দুর্নীতির সন্দেহ আরও প্রবল হয়ে উঠেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।