Adenovirus: দু’মাসে এখনও পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ বেড়েই চলেছে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট। রবিবার ভোরে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে ফের মৃত্যু হল দুই এক রত্তি শিশুর। তাদের শরীরেও ছিল অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ৷ গত ৯ দিনে এই নিয়ে ৩৬টি শিশুর মৃত্যু হল৷ অ্যাডিনোতে মৃত্যুর সংখ্যা খুব শীঘ্রই ১০০-এর গন্ডি পেরোতে চলেছে। ফলে পরপর শিশুমৃত্যুতে আতঙ্ক ক্রমে বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে৷
এদিন মারা গিয়েছে মেটিয়াবুরুজ ও মালঞ্চর দুই শিশু। মেটিয়াবুরুজের নাদিয়ালের বাসিন্দা আতিফা খাতুন। গত রবিবার জ্বর-সর্দি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরু হয় চিকিৎসা। চিকিৎসা হলেও তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। বরং স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে বলে দাবি শিশুর পরিবারের। শিশুটির বয়স এক বছর সাত মাস। এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
আবার অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনগাঁ মালঞ্চর এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে এদিন। নাম আরমান গাজী। বয়স মাত্র চার মাস। সূত্রের খবর, গত ৬ দিন ধরে সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। কিন্তু শেষে রক্ষা করা গেল না তাকে। রবিবার ভোর চারটে নাগাদ মৃত্যু হয় ওই শিশুর।
আরও পড়ুন: ফের শিশুমৃত্যু! অ্যাডিনো সংক্রমণ রুখতে এবার বড়দের পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের
রাজ্য সরকার এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে শিশু মৃত্যু ঠেকাত একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও, শিশু মৃত্যু আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। আর এই নিয়েই যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে রাজ্যবাসী থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। দু’মাসে এখনও পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরজি কর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে সেখানেই মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন শিশুর। ফলে এই সংখ্যা যে খুব শীঘ্রই ১০০-এর গন্ডি পেরিয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা থাকে না।
একের পর এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাজ্যের পেডিয়াট্রিক চাইল্ড কেয়ার ইউনিটের সমস্ত বেডই প্রায় ভর্তি। বেসরকারি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক চাইল্ড কেয়ার ইউনিটগুলির অবস্থাও একই রকম।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
