চিন ছিল প্রথম দেশ যারা ২০১৯ সালে চাঁদের দুই পৃষ্ঠেই রোভার চালাতে সক্ষম হয়েছিল...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে চিন (China Moon Base)। উদ্দেশ্য, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসার' একাধিপত্য কমানো। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই মহাকাশের দখল নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। প্রথম মহাকাশচারী রাশিয়া পাঠিয়েছিল তো চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল আমেরিকা। নাসার গবেষণার অন্ত নেই। ভিনগ্রহ প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা, পৃথিবীর মতো আর কোনও গ্রহ রয়েছে কিনা, মঙ্গলের লাল মাটিতে কী রয়েছে, বছরভর এই নিয়ে গবেষণা চালান নাসার বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে পিছিয়ে নেই ড্রাগনের দেশও। চিন ছিল প্রথম দেশ, যারা ২০১৯ সালে চাঁদের দুই পৃষ্ঠেই রোভার চালাতে সক্ষম হয়েছিল। লুনার নমুনা সংগ্রহও করে এনেছিল চিন। চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তেই বেস বা থাকার জায়গা (China Moon Base) তৈরি করতে চায় চিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখানে জলের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নাসার বিজ্ঞানীরাও চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠের রহস্য উন্মোচনে গবেষণারত।
চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠকে কেন্দ্র করে একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে চিন। সেদেশের সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, চাঁদে থাকার (China Moon Base) এই জায়গা পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠবে। চিনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার উ উইরান বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হব। চাঁদের বেস ক্যাম্প পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠলে তার স্থায়িত্ব বাড়বে।
মহাকাশ গবেষণা খাতে চিন এবং আমেরিকা এই দুই দেশই হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। মহাবিশ্বের বিভিন্ন সম্পদ আবিষ্কার এবং রহস্যভেদ করাই এই মিশনগুলির উদ্দেশ্য থাকে। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। নাসার পাঠানো রোভার লাল গ্রহ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: "জিনপিং পদত্যাগ করুন", বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।