Guru Purnima: জানুন, হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈনদের কাছে গুরু পূর্ণিমা কেন বিশেষ?
2024-07-20 13:21:35
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হচ্ছে গুরু পূর্ণিমা। এই বিশেষ তিথি বেদব্যাসের জন্মদিন হিসেবে পরিচিত। গুরু পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে তাই মহর্ষি বেদব্যাসকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়।
হিন্দু,বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছেই গুরু পূর্ণিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিথি। আজ শনিবার ২০ জুলাই গুরু পূর্ণিমার তিথি শুরু হচ্ছে, চলবে আগামী কাল ২১ জুলাই পর্যন্ত।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জুন বা জুলাই মাসে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকে গুরু পূর্ণিমা বলা হয়। এই বিশেষ দিনে শিষ্য বা পড়ুয়ারা নিজ নিজ শিক্ষক বা গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তাঁদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।
বৌদ্ধ ধর্মের ক্ষেত্রেও গুরু পূর্ণিমার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হয় বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির পরে সারনাথে প্রথম ধর্মোপদেশ প্রদান করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ যা ইতিহাসে ধর্মচক্র প্রবর্তন নামে পরিচিত।
অন্যদিকে জৈনদের কাছেও গুরু পূর্ণিমার তিথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা যায় ২৪ তম তীর্থঙ্কর মহাবীর, এই বিশেষ দিনেই তাঁর প্রথম ও প্রধান শিষ্য হিসেবে গৌতম স্বামীকে বেছে নেন।
গুরু পূর্ণিমার এই বিশেষ দিনে ফল-ফুল সিঁদুর হলুদ ইত্যাদি পূজোর উপকরণ দিয়ে ব্যাসদেবকে পুজো করার রীতিও দেখা যায়। আবার মনে করা হয় গুরু দীক্ষা নেওয়ার জন্য এই দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুরু পূর্ণিমার বিশেষ দিনে আচার মেনে গুরু ও ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। এতে পুণ্য ও মোক্ষ লাভ হতে পারে। জীবনে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।
হলুদ রঙ ভগবান বিষ্ণুর ভীষণ প্রিয়। হলুদের রঙকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে হলুদের মালা পরলে গ্রহের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জীবনের ভাগ্য পরিবর্তন করতে গুরু পূর্ণিমার দিন হলুদের গিঁটের মালা পরতে বলছেন শাস্ত্র বিশারদরা।