Raisins: দ্রুত বাড়তি ওজন কমাতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন কিশমিশ

খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু কিশমিশ ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। আর তাই কম ক্যালোরির খাবার খাওয়া হয়। যত কম ক্যালোরির খাবার খাওয়া হবে ততই কিন্তু তাড়াতাড়ি ওজন কমবে। কিশমিশের মধ্যে থাকে লেপটিন আর শর্করা। যা কিন্তু মিষ্টির লোভ দমন করে।

ওজন ঝরাতে গেলে ডায়েটের পাশাপাশি ওয়ার্কআউটও করতে হবে। ডায়েট আর ওয়ার্কআউট একসঙ্গে হলে তবেই কিন্তু ওজন কমবে। কিশমিশের মধ্যে থাকে ফ্রুকটোজ, গ্লুকোজের মত প্রাকৃতিক শর্করা। যা ওয়ার্ক আউটের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে শরীরে। আর তাই খালি পেটেই কিশমিশের জল খাওয়ার কথা বলা হয়।

কিশমিশ আমাদের হজম ক্ষমতা ভাল করে। কারণ এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। মহিলাদের দিনে ১৫ টি কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে পুরুষদের জন্য কিশমিশ খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে ২০ টা। তবে কিশমিশ কিন্তু কখনই শুকনো খাবেন না সব সময় ভিজিয়ে খাবেন।

কিশমিশ আমাদের অন্ত্রে প্রোবায়োটিকের কাজ করে। যা কিন্তু ওজন কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কিশমিশ ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। মহিলাদের দিনে ১৫ টি কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিশমিশ খেতে পারেন না, কিন্তু তা নয়। আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে সীমিত পরিমাণে কিসমিস খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অম্লতা কমাতে সাহায্য করতে পারে এমন খাবারে কিশমিশ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কিসমিসের ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।

বেশ কিছু গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, রাতারাতি ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। আর এতে শরীরে আয়রনের পরিমাণও বাড়ে।

যাঁদের রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত ভাবে এই জল খেতে পারলে কিন্তু উপকার পাবেন। বাড়বে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যাও। এছাড়াও জলে কিশমিশ ফেলে সিদ্ধ করেও কিন্তু সেই জল ছেঁকে খেতে পারেন।
Tags: