img

Follow us on

Friday, Apr 19, 2024

Bangladesh Genocide: একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি দিতে ঢাকায় ডাচ টিম

সাংবাদিক সম্মেলনে কী বললেন প্রাক্তন ডাচ মন্ত্রী বোমাল?

img

পাকিস্তানী সৈন্য এবং রাজাকারদের অত্যাচারে একাত্তরে এভাবেই ভারতে পালিয়ে এসেছিল ১ কোটি হিন্দু

  2023-05-24 17:04:02

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার দাবিতে উত্তাল হয়েছিল সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ। এই সময় 'অপারেশন সার্চলাইট'-র নামে সারা বাংলাদেশ জুড়ে গণহত্যা (Bangladesh Genocide) চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতাকে লুকিয়ে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি পাকিস্তান। তবে গত বছরে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর হওয়া নরসংহারকে স্বীকৃতি দেয় আমেরিকার 'লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন' সংস্থা। আন্তর্জাতিকভাবে এই গণহত্যার স্বীকৃতি যে খুব তাড়াতাড়ি মিলবে এবার সেই দাবি করলেন নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানবাধিকার কর্মী হ্যারি ফান বোমাল। ইতিমধ্যে ঢাকাতে চলে এসেছে বোমালের নেতৃত্বাধীন ইউরোপের মানবাধিকার প্রতিনিধি দল। ২০ মে থেকে শুরু হয়েছে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ, চলবে ২৬ মে পর্যন্ত।

বাংলাদেশ জেনোসাইড (Bangladesh Genocide) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকায়

বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলছে ঢাকাতে। সেখানে অংশ নিয়েছে নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি মানবাধিকার দল। প্রাক্তন ডাচ মন্ত্রী বোমাল ছাড়াও ওই দলে রয়েছেন, রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরামের ব্রিটেনের চেয়ারম্যান আনসার আহমেদ, নেদারল্যান্ডের চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরি বড়ুয়া প্রভৃতি।

সাংবাদিক সম্মেলনে কী বললেন প্রাক্তন ডাচ মন্ত্রী বোমাল

ঢাকাতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বোমাল বলেন, ‘‘আমেরিকার গণহত্যার স্বীকৃতি মিলেছিল ১০০ বছর পরে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হবে না। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের নরসংহার (Bangladesh Genocide) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে। সেটা ১০ বছরের মধ্যেই পাবে।’’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফের কালী মন্দিরে আগুন, পুড়ে ছাই প্রতিমা, দুষ্কৃতীরা অধরা

ব্রিটেনের সংসদেও নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে

১৯৭১-এর গণহত্যা বিষয়ক আলোচনা ব্রিটেনের পার্লামেন্ট হয়েছে। সে দেশের সাংসদ পিটার শোরে এই নিন্দা প্রস্তাব এনেছিলেন। পাকিস্তানের এই মধ্যযুগীয় বর্বরতার (Bangladesh Genocide) বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে ব্রিটেনের ২৩৩ জন এমপি এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়ে প্রস্তাব পেশ করে।

১৯৭১ এর ইতিহাস

পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় আন্দোলন। আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে নরসংহার (Bangladesh Genocide) শুরু করে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশের রাজাকাররাও। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১ কোটিরও বেশি সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু তখন সীমান্ত পেরিয়ে ভারত এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সব থেকে বেশি অবদান হিন্দুদের ছিল বলে মনে করেন গবেষকদের একাংশ। এনিয়ে বহু গবেষণামূলক লেখাও রয়েছে। গবেষক কালিদাস বৈদ্য সেসময় মুজিবর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর লেখায় মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের ভূমিকা এবং ভারতের সহযোগিতার বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে। কালিদাস বৈদ্যর লেখা বই থেকে জানা যায়, উদ্বাস্তু হিন্দুদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিল ভারত সরকার। তৈরি হয়েছিল মুজিব বাহিনী।

১৯৭১ সালের মার্চ মাসে 'অপারেশন সার্চলাইট' এর নামে ঢাকার বিখ্যাত রমনা কালী মন্দিরকে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সৈন্যরা। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, পাকিস্তানি সৈন্য এবং রাজাকাররা মনে করতে থাকে পূর্ব পাকিস্তান হিন্দু শূন্য হলেই, বিদ্রোহ দমন করা যাবে। তাই দমন পীড়ন হিন্দুদের ওপর সব থেকে বেশি হয়েছিল। সে দেশের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে ৩০ লক্ষ নিরীহ বাংলাদেশি মানুষকে সেদিন হত্যা (Bangladesh Genocide) করেছিল পাকিস্তান। বাদ যায়নি ছোট শিশু থেকে মহিলা কেউই। দু'লক্ষের ওপর মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামে ভারত। শেষপর্যন্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। গঠন হয় নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Bengali news

India Pakistan War

Bangladesh Genocide


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর