Bangladeshi Infiltrators: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে জঙ্গি কার্যকলাপকে মদত, মহারাষ্ট্রের এনআইএ আদালত সাজা দিল ৩ বাংলাদেশিকে...
জঙ্গিযোগে তিন বাংলাদেশির হাজতবাসের সাজা দিল ভারতের এনআইএ আদালত। ছবি— প্রতীকী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল-কায়দার সহযোগী সংগঠন বলে পরিচিত আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা দিয়েছে মুম্বইয়ের এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত।আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT) হল বাংলাদেশের একটি জঙ্গি সংগঠন এবং উপমহাদেশে তারা আল-কায়দা সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করে। আনসারুল্লা বাংলা টিমের ওই আশ্রয় দানের জন্য ওই তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হল মহম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব (ওরফে রাজ জেসুব মণ্ডল), হান্নান আনোয়ার হুসেন খান (ওরফে হান্নান বাবুরালি গাজী), এবং মহম্মদ আজরালি সুবহানাল্লাহ্ (ওরফে রাজা জেসুব মণ্ডল)।
NIA Mumbai Court Sends 3 more B’Deshis to Jail for Harbouring ABT Terrorists, Taking total Convictions to 5 pic.twitter.com/m7wr5y8mQr
— NIA India (@NIA_India) November 28, 2024
এনআইএ (NIA) যে প্রেস বিবৃতি দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করা, তাদেরকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা, নকল ভারতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেওয়া এবং তাদেরকে পুণেতে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া। এটা নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরেও দুই বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi Infiltrators), রিপেন হোসেন (ওরফে রুবেল) এবং মহম্মদ হাসান আলি মহম্মদ আমের আলিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, এই মামলার (NIA) তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। তখনই পুণে পুলিশ জানতে পারে, সে শহরে অবৈধভাবে বসবাস করা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে। গোপন সূত্রে তখন উঠে আসে আনসারুল্লা বাংলা টিমের নামও। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব নামের একজনকে। মহারাষ্ট্রের ধোবিঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে একে একে অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।
২০১৮ সালের মে মাসে মামলাটি মহারাষ্ট্র পুলিশের হাত থেকে যায় এনআইএ-র হাতে। তখনই এনআইএ তদন্তে উঠে আসে যে অভিযুক্তরা বেআইনিভাবে এবং জালিয়াতি করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তাদেরকে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড- সমস্ত কিছু বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।