Disease: মর্নিং ওয়াকেই রয়েছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। কিন্তু কীভাবে তা করলে বাড়তি উপকার পাবেন?
নিয়মিত মর্নিং ওয়াক হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে। সংগৃহীত চিত্র।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা। আর তার পরেই অন্তত তিরিশ মিনিট বাড়ির সামনের পার্কে হাঁটা (Morning Walk)। ব্যাস! তাতেই রয়েছে ম্যাজিক! সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি রয়েছে এই অভ্যাসেই। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য কম বয়স থেকেই এই অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি। সকালে হাঁটার এই অভ্যাস একাধিক রোগের মোকাবিলা করে। শরীর সুস্থ রাখে। পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। আসুন, এক নজরে দেখে নিই, কোন কোন রোগের মোকাবিলা করতে পারে মর্নিং ওয়াক?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মর্নিং ওয়াক হৃদযন্ত্র সুস্থ ও কার্যকর রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তারা জানাচ্ছে, সকালে নিয়মিত হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিক মতো হয়। শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হলেই হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাই নিয়মিত মর্নিং ওয়াক হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকিও (Disease) কমাতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নিয়মিত সকালে হাঁটলে কমবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে এলডিএল নামক ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার এইচডিএলের মতো ভালো কোলেস্টেরল তৈরি হয়। ফলে একাধিক শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমে। কোলেস্টেরলের পাশপাশি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরির ঝুঁকি কমে।
নিয়মিত সকালে হাঁটলে (Morning Walk) স্থূলতাকে সহজেই কাবু করা সম্ভব। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, সকালে হাঁটলে ক্যালরি সহজেই ঝরে যায়। মেদ কমানোর সহজ উপায় মর্নিং ওয়াক। তাই স্থূলতার সমস্যা থেকে নিস্তার মেলা সহজ হয়।
পেশি ও হাড়ের সমস্যা কমানোর জন্য শারীরিক কসরত খুব গুরুত্বপূর্ণ। মর্নিং ওয়াক শারীরিক কসরতের একটি অত্যন্ত ভালো উপায়। শরীরের বিভিন্ন পেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়, আবার দেহের জয়েন্টগুলোকেও সচল রাখে। তাই পেশি ও হাড়ের ব্যথা কমাতে নিয়মিত মর্নিং ওয়াক বিশেষ উপকারী।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও মর্নিং ওয়াক বিশেষ উপকারী। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো একাধিক মানসিক সমস্যা বাড়ছে। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে এই ধরনের সমস্যা কমবে। তারা জানাচ্ছে, মর্নিং ওয়াক করলে স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর জেরেই মানসিক চাপ কিংবা অবসাদের মতো সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ হয়।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, অ্যালজাইমারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। স্মৃতিশক্তি জনিত সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমবে।মর্নিং ওয়াক করলে একদিকে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকছে, আরেকদিকে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হচ্ছে। স্নায়ু সক্রিয় থাকছে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই স্মৃতিশক্তিও ভালো থাকছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মর্নিং ওয়াকের সময় কয়েকটি দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। তবেই বাড়তি উপকার পাওয়া সম্ভব।
মর্নিং ওয়াকের শুরুতেই খুব দ্রুত হাঁটা কিংবা দৌড়ে হাঁটার মতো অভ্যাস না করারই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এতে খুব কম সময়েই হাঁফিয়ে উঠতে পারেন। ফলে তিরিশ মিনিট হাঁটা সম্ভব হবে না। পায়ের জুতো খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মর্নিং ওয়াক করার জন্য আরামদায়ক জুতো পরতে হবে। পেশিতে যাতে টান না ধরে, সেদিকে খেয়াল রেখে জুতো নির্বাচন জরুরি। মর্নিং ওয়াক শুরুর আগে হালকা ওয়ার্ম আপ করা দরকার। যাতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। ঘুম ভাব সম্পূর্ণ কেটে যায়। তবে মর্নিং ওয়াক শুরুর আগে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। কারণ মর্নিং ওয়াক করলে অনেকের অতিরিক্ত ঘাম হয়। এর ফলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি (Disease) তৈরি হয়। তাই জল খাওয়া নিয়ে সচেতনতা জরুরি।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।